কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাজবাড়ীর নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক.
২৩ জানুয়ারি, রোববার ‘লুটেরা ধনিকদের দ্বিদলীয় দুঃশাসনের ব্যবস্থা বদলাও, সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতন্ত্রের সংগ্রাম জোরদার কর’ ¯েøাগান সামনে রেখে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা কমিটির নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে বিকেলে আবদুস সামাদ মিয়াকে সভাপতি ও আবুল কালাম মো. মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
শহরের আজাদী ময়দানের পাশে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক।
সম্মেলন উপলক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি কমরেড আবদুস সামাদ মিয়া। শোক ও সাংগঠনিক প্রস্তাব পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী বাবন চক্রবর্তী। সম্মেলনে অন্যান্যেও মধ্যে মানিকগঞ্জ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মাস্টার, জেলা কমিটির নেতা আবুল কালাম, এস এম দাউদ খান প্রমূখ বক্তব্য দেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনের পর কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আবুল কালাম, এস এম দাউদ খান, মজিবর রহমান, মুজিব আলম বকুল, বাবন চক্রবর্তী, ধীরেন্দ্রনাথ দাস, আফরোজা খাতুন ডলি, তোফাজ্জেল হোসেন ও আবদুল হালিম বাবু। অপর দুইজন সদস্য পরে কো-অপ্ট করা হবে।
উদ্বোধক বলেন, দেশ আজ নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত। কমিউনিস্ট পার্টি এদেশের সাধারণ মানুষের পার্টি। করোনা অতিমারির কারণে মানুষ আজ দিশেহারা। বেকারত্বের পরিমান বেড়ে চলছে। অনেক যুবক চাকুরি হারাচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেণির লুটেরা দুর্বৃত্ত তাদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তাঁরা দিনকে দিন আরও ধনী হচ্ছে। সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য কমিউনিস্ট পার্টিকে গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে।
Leave a Reply