নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ীতে র্যালি, পুস্পস্তবক অর্পন ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়ন রাজবাড়ী জেলা সংসদের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি, শনিবার এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচির শুরুতে পাংশা রেলস্টেশন এলাকা থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ভিয়েতনামের বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা মতিউল ইসলামের সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। প্রয়াত নেতার স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করে ছাত্র ইউনিয়ন রাজবাড়ী জেলা সংসদের সহসভাপতি মনজয় সরকার। এসময় বক্তব্য দেন পাংশা উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আবদুল হালিম।
বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। শুরু থেকেই দেশী-বিদেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। বর্তমান সময়েও দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নিত্যপন্য জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আবার কৃষক বা চাষী তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি ভিয়েতনামে মার্কিন বোমা বর্ষণের প্রতিবাদে ডাকসু ও ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে ছাত্র ইউনিয়নের দুইজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। নিহতরা হলো মতিউল ইসলাম ও মীর্জা কাদের। মতিউল ইসালামের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে। এই হত্যাকান্ডের পর থেকে ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের উদ্যোগে দিনটিকে সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২০০০ সালে ভিয়েতনাম সরকার মতিউল ও কাদেরকে ওই দেশের বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করে।
Leave a Reply