নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৮ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নেতৃত্বে এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভূক্তভোগি সাংবাদিককের নাম কবির হোসেন (৩৫)। তিনি দৈনিক খোলা কাগজের রাজবাড়ী প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে। কবিরের বাবার নাম মতিউর রহমান।
অভিযুক্তের নাম মো. তৌহিদ। তিনি মূলঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তাঁর চাচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সহকর্মী নাইমুল ইসলামকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সুলতানপুর যাচ্ছিলেন। পথে মূলঘর ইউনিয়নের রশোড়া গ্রামের চেয়ারম্যানের মোড়ে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে ছিলেন। এসময় তৌহিদ ও হিমেলের নেতৃত্বে ৫/৬ জন মিজান টেলিকমে ভিতরে দোকানের মালিককে মারধর করছিল। তিনি এতে বাধা দেন। এতে তাঁর ওপর চড়াও হয়ে এলোপাথারি কিল, ঘুষি, চর থাপ্পর মারতে থাকে। তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এরপর তিনি সুলতানপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
তিনি বলেন, কিছু সময় পরে দেখতে পান দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া মোটরসাইকেলে আমাকে অনুসরন করিতেছে। এসময় তাকে মোটরসাইকেল নিয়ে পিছন থেকে ধাওয়া দেয়। তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। তিনি কোলারহাট পেঁয়াজ বাজারে পৌছানোর আগেই তাকে মোটর সাইকেল নিয়ে ঘিরে ধরে। এসময় তাকে মারধর করা হয়। তাঁর কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। মুঠোফোন ভেঙে ফেলে। মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পুলিশ ঘঁনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে আছেন।
যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিককে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. তৌহিদ। তিনি বলেন, আমরা পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি করছিলাম। এসময় সাংবাদিক হেলমেট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেছে। আমি এতে আহত হয়েছি।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply