নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে দিনব্যাপি এই কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুর্বণা রানী সাহা।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুব রহমান শেখ, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিলীপ কুমার কর, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রুবাইয়াত মো. ফেরদৌস, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আজমীর হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা নুজহাত সুলতানা, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মো. জহুরুল হকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার শুরুতে পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্টে কি নোট উপস্থাপনা করা হয়। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করতে পারবে না। কেউ এই বিধান ভঙ্গ করলে তিনশ টাকা অর্থদন্ড দন্ডনীয় হবেন এবং উক্ত ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ একই ধরণের অপরাধ সংঘটন করলে পর্যায়ক্রমিক ভাবে তিনি উক্ত দন্ডের দ্বিগুণ হারে দন্ডনীয় হবে। পাবলিক প্লেসের অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস বা আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্বশাসিত অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল বা ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, নৌ বন্দর, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্মিনাল ভবন, প্রেক্ষাগৃহ, প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণী ভবন, পাবলিক টয়লেট, শিশু পার্ক, মেলা প্রভৃতি। অপরদিকে পাবলিক পরিবহন হলো মোটরগাড়ি, বাস, রেলগাড়ি, ট্রাম, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সকল প্রকার জলযানবহন, উড়োজাহাজ এবং সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্টকৃত বা ঘোষিত অন্য যেকোনো যান।
কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ১০ সদস্যবিশিষ্ট চার করে দল গঠন করা হয়। দলগুলো বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
বক্তারা বলেন, তামাক একটি ক্ষতিকর পণ্য। আমাদের তামাকের ব্যবহার থেকে দুরে থাকতে হবে। প্রথমে নিজে তামাকজাত পণ্য ব্যবহার বর্জণ করতে হবে। এরপর নিজের পরিবারকে বিরত রাখতে হবে। এর কুফল আমাদের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, সহকর্মীদেও বোঝাতে হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে মাদকের ক’ফল তুলে ধরতে হবে। সবাইকে নিজনিজ স্থান থেকে সচেতন হতে হবে।
Leave a Reply