নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, শনিবার রাজবাড়ীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাইসাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালিটি শহরের শ্রীপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়ে শহীদ খুঁশি রেলওয়ে মাঠে শেষ হয়।
বাইসাইকেল র্যালি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ কাজী কেরামত আলী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম। এতে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সালমা চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকীর আবদুল জব্বার, পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান, পৌরমেয়র আলমগীর শেখ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি হেদায়েত আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর বাইসাইকেল চালানোর স্মৃতিচারণ করেন শওকত আলী মোল্লা। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভা শেষে অতিথিরা শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বাইসাইকেল র্যালির উদ্বোধন করেন। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাইসাইকেল আরোহী অংশগ্রহণ করে। র্যালিতে পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান, পৌরমেয়র আলমগীর শেখ প্রমূখ অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি বড়পুল, পান্না চত্বর হয়ে শহীদ খুঁশি রেলওয়ে মাঠে এসে শেষ হয়।
সাংসদ কাজী কেরামত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু সংগঠনকে গোছানোর জন্য, দলকে গোছানোর জন্য দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি কলকাতা গিয়েছেন, আগরতলা গিয়েছেন। তিনি রাজবাড়ীতেও অনেকবার এসেছেন। তখন মাওয়া ঘাট ছিল না। গোয়ালন্দ ঘাট হয়ে বঙ্গবন্ধু রাজবাড়ী ও এই অঞ্চলে আসতেন। তখন ফেরী, স্পিডবোড ছিল না। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আমাদেও দাবি ছিল গোয়ালন্দে পদ্মা সেতু। কিন্তু সেটি মাওয়াতে হচ্ছে। এখন আমাদের এই এলাকায় সেতু বা টানেল নির্মাণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্কুলে পড়াশোনার সময় আমরা সবাই বাইসাইকেল চালাতাম। সুযোগ পেলেই বাইসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতাম। বাইসাইকেল চালালে শরীর ভালো থাকে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ সালমা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাইসাইকেল চালিয়ে আমার বাবা ওয়াজেদ চেšধুরীর নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। এই এলাকায় তিনি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন। একথা মনে পড়লেই গর্বে আমাদের মন ভরে যায়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আবদুল জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত একটি সোনার বাংলা। তাই আসুন, যারা বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণা করি তাঁরা ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত থাকি। অন্যায় থেকে বিরত থাকি।
Leave a Reply