নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ীতে সদর থানা ও পৌর বিএনপির আহŸায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এবিষয়ে গতকাল রোববার দুপুরে প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। তবে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপির একাংশ।
সদর থানার ৬১সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আহŸায়ক হয়েছে আবুল হোসেন গাজী। সদস্য সচিব মজিবর রহমান শেখ। এতে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে ১৫জনকে। যুগ্ম আহবায়কেরা হলেন, রেজাউল করিম খান, জাহাঙ্গীর আলম, শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী মোল্লা, রাজু আহমেদ, মজিবর রহমান, একেএম শফিউদ্দিন আহমেদ, এড. মাজেদ ওয়াহেদী, মনিরুজ্জামান মিঠু, আনোয়ার সরদার, ফজলুল হক, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম, আহসান হাবীব ও লুৎফর রহমান।
৫১ সদস্যবিশিষ্ট পৌর কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটির আহŸায়ক ও সদস্যসচিব হলেন যথাক্রমে মাহবুব আলম চৌধুরী ও কাউন্সিলর জহির রাজ। যুগ্ম আহŸয়কেরা হলেন, মীর লায়েক আলী, রবিউল ইসলাম, গোলাম কাশেম, শাহ মো. আলমগীর, মশিউর রহমান, আশরাফুল আলম, আবদুর রাজ্জাক, অর্ণব নেওয়াজ ঋষিত, এম এ খালেদ পাভেল, শহিদুল ইসলাম, এসএম ফারুখ, ইয়াসমিন আক্তার, মাসুদুর রহমান, তানভীর হোসেন ও হাসমত আলী।
সদর থানা সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এম সবুর শাহীন বলেন, আমি দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও দুইবার সদস্য সচিব ছিলাম। নির্বাচনের পর তিন মাস জেল খেটেছি। অথচ নতুন এই কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে আমি চিনি না। অধিকাংশই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনা। আবার বয়সে অনেক কম এমন ছেলেদেরও কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখান করি। কারণ এই কমিটি দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম হবে না। তিন-চার দিনের মধ্যে এবিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
জেলা বিএনপির আহŸায়ক লিয়াকত আলী বলেন, কমিটি সংগঠনের সবাইকে নিয়ে করা হয়েছে। কেউ এই কমিটি প্রত্যাখান করলে কিছু করার নেই। কারণ কেউ কেউ কমিটির সবটুকু চায়। কিন্তু করা হয়নি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। এছাড়া অঙ্গসংগঠনের কেউ নিয়ম অনুযায়ি এই কমিটিতে থাকতে পারবে না। একারণে কমিটিতে নারী সদস্য সংখ্যা খুব কম। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সময় ১৫ শতাংশ নারী সদস্য রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে কমিটি গঠনের কার্যক্রম স্থগিত ছিল। একারণে নতুন কওে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এখন সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি রাজবাড়ী বিএনপির আটটি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কমিটিগুলোর মধ্যে পাঁচটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভা কমিটি। উপজেলাগুলো হলো সদর উপজেলা, পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলা। পৌরসভার কমিটিগুলো হলো সদর, পাংশা ও গোয়ালন্দ পৌরসভা। ১৫ দিনের মধ্যে এসব কমিটি পুর্নগঠন করার কথা ছিল।
Leave a Reply