নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ীতে শনিবার সকালে ‘‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ের উন্নয়ন’ এই শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগ আয়োজনে শীর্ষক আলোচনা সভা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় সংঙ্গীতের সাথে জাতীয় ও সমবায়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সাংসদ ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামার। অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা এইচ.এম.সহিদ উজ জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম, জনসেবা বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেডের সভাপতি মুনজুর রহমান, নিরাপদ পাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নব কুমার দত্ত। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা সমবায় অফিসার সেলিনা পরভীন।

সাংসদ কাজী কেরামত আলী বলেন, রাজবাড়ীতে সমবায়ের মাধ্যমে অনেক লোক উপকৃত হয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে যদি স”্ছতার সাথে কাজ করা যায় তাহলে একদিন সত্যিই এই সংগঠন এগিয়ে যাবে। এই সরকার সমবায়ের মাধ্যমে নারী সাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে। আজকে এই সমবায়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী-পুরুষদের সাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার চাচ্ছে প্রত্যেকটি জেলায় শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠুক। এতে করে দেশে যে বেকার সমস্যার রয়েছে সেটা অনেকটাই কমে যাবে। কারণ বেকার যুবকদের সেখানে কর্মসস্থান তৈরি হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য ভাগ্য উন্নয়নে এই সমবায় কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিকে এগিয়ে যেতে সমবায় ভূমিকা রাখছে। সমবায়ের মাধ্যমে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সকলকে বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। তাই ইট ভাটার কোন গাছ পোড়ানো যাবে না।

পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছিলেন। মহান স্বাধীনতার পরেই তিনি তা অনুধাবন করতে সক্ষম হন। সবাই মিলে কাজ করলেই আমাদের চ’ড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব।