নাহিদুল ইসলাম ফাহিম/রিদয় খান
রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকালে ১০০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হাত থেকে বসতবাড়ি রক্ষার জন্য নদী তীরের বাসিন্দারা বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। এতে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পদ্মার নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য মোট ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা। এছাড়া একই এলাকায় ড্রেজিং করা হবে। ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা। কাজের মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড। কাজ বাস্তবায়ন করছে মেসার্স দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড (ডিবিএল)। কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৩১ মে। কাজের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। অপরদিকে গোদার বাজার এলাকায় দেড় কিলোমিটার এলাকা সংস্কার কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়। ব্যয় ধরা হয় ৭২ কোটি টাকা। পাঁচটি প্যাকেজে কাজ সম্পন্ন হয় চলতি বছরের ৩১ মে। কিন্তু এখনো কাজ পাউবোকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। জুলাই মাস থেকে ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখন আর অভিযোগ করে কি হবে। যা হবার তাতো হয়েই গেছে। সরকার অনেক টাকাপয়সা খরচ করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের লাভ হলো না। নদী পাড়ের বাসিন্দাদের বাড়িঘর নদীতে চলে গেল। অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। কিন্তু নদী ভাঙন থামে নাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল আহাদ বলেন, আজ ১০০ মিটার এলাকায় ভাঙন হয়েছে। ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। আগামিকাল থেকে টিউবব্যাগ ফেলা হবে।
Leave a Reply