পাংশা প্রতিনিধি
১৫ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা শহরের মাগুরাডাঙ্গী গ্রামে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সাহিত্যিক এয়াকুব আলীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কোরানখানী, সমাধীতে পুস্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার ও ক্লাবের উদ্যোগে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে কোরানখানীর আয়োজন হয়। এরপর তাঁর সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সাহিত্যিকের পরিবার, পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার ও ক্লাব, পাংশা সরকারি কলেজ, পাংশা মহিলা কলেজ, এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপিঠ, আইডিয়াল গালর্স কলেজ, কাজী আবদুল মাজেদ একাডেমী, কাজী আবদুল মাজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।
সমাধিপ্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার ও ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। এতে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ, পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা খাতুন, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান, এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও পাংশা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল আল মাসুদ বিশ^াস, সাহিত্যিকের নাতির স্ত্রী রুকসানা কবীর, এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন, সাংবাদিক মোক্তার হোসেন।
বক্তারা সাহিত্যিকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। পরে দোয়া মাহফিলের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, এয়াকুব আলী চৌধুরী ১৮৮৮ সালে মাগুরাডাঙ্গী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি কহিনুর পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় ব্রিটিশ সরকার তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করে। কারাগার থেকে বের হয়ে শিক্ষকতায় ইস্তফা দিয়ে কলকাতা গিয়ে সাংবাদিকতা করেন। তিনি ১৯৪০ সালের ১৫ ডিসেম্বর মারা যান।
Leave a Reply