আবদুল হালিম বাবু..
রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুররে আরিফুল ইসলাম ওরফে রকি হত্যা মামলায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আসামীদের কাছ থেকে গুলিসহ দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য বলা হয়।
গ্রেপ্তার দুই যুবক হলো সৌরভ আহমেদ শাওন (৩৪) ও ইয়ামিন আলী (২২)। শাওনরে বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার চরখানখানাপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নজরুল ইসলাম শেখ। ইয়ামিন কুষ্টিয়া সদর থানার দহকুলা গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমানে ছেলে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুটি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি কার্তুজ, দুটি কার্তুজের মাথার অংশ ও একটি মুখোশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু সময় আগে চার-পাঁচজন বন্ধু নিয়ে খানখানাপুর সুরাজ মোহনী ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনের বটতলায় মীর্জা ফয়সালের কফি শপের আসেন। দোকানের চেয়ারে বসার পর কফি অর্ডার দেন। কিছুসময় পরে তাঁর ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুর্বত্তরা। রকি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুটি মোটর সাইকেলে হামলাকারীরা মোটরবাইকে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মাথায় হেলমেট ছিল। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় রকির বাবা আবদুর রাজ্জাক শেখ বাদী হয়ে রোববার রাতে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, হত্যাকান্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ি আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুইজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply