নিজস্ব প্রতিবেদক..

মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সহচর সাবেক গণপরিষদ সদস্য কাজী হেদায়েত হোসেনের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী বৃহস্পতিবার বিকেলে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোকর‌্যালি, জিয়ারত, পুস্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

বিকেলে দিবসটি পালন উপলক্ষে পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে একটি শোকর‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি কাজী হেদায়েত হোসেনের সমাধীতে গিয়ে শেষ হয়। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। সেখানে দলীয় নেতৃবৃন্দ পুস্পমাল্য অর্পণ করে। এরপর জেলা কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী হেদায়েত হোসেনের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।

আওয়ামীলীগের কার্যালয় প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আইনজীবী উজির আলী শেখ। এতে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম, প্রয়াত কাজী হেদায়েত হোসেনের বড় ছেলে রাজবাড়ী- ১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা পরিষদের প্রশাসক ফকীর আবদুল জব্বার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি হেদায়েত আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লিয়াকত আলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, যুবলীগ রাজবাড়ী সদর উপজেলার সাধারন সম্পাদক শওকত হাসান প্রমূখ।

সভা শেষে দোয়া মাহফিলে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

বক্তারা বলেন, কাজী হেদায়েত হোসেন ছিলেন সাবেক গোয়ালন্দ মহকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সহচর। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৮ আগস্ট কাজী হেদায়েত আলীকে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন সংগঠনের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি রাজবাড়ীর রাজবাড়ীর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। ছাত্রদের কলেজের ফি দিতেন। কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেন। তাঁর অনুদান ছাড়া রাজবাড়ীতে সংগঠনের কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়।