রাহিম মোল্লা
প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল বাংলাদেশের সব নার্সিং ইনস্টিটিউট। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেয়া হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। সকল জেলাগুলোর সাথে সাথে রাজবাড়ী জেলার সব নাসিং ইনস্টিটিউট খুলে দেওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের কাজের চাপ কমে আসায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জেলার সকল নার্সিং ইনস্টিটিউট বন্ধ থাকায় হাসপাতালে কোন শিক্ষার্থী ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জন্য শিক্ষার্থী আসতে পারতেন না। একই সঙ্গে করোনার কারণে হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ছিল। এতে করে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হতো হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
ডেইলি রাজবাড়ী নিউজের হাসপাতাল প্রতিনিধি সাথে কথা হয় নার্সিং স্টুডেন্ট রাকিব খান, অনিক বেপারি, রিফাত, সাফায়াত, তুলি, অরিন, রেখা, রজনী আক্তার বৃষ্টি, অলকসহ অনেকের। তাঁরা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে আমাদের ইনস্টিটিউটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। একারণে হাসপাতালে রোগীদেরকে সেবা দিতে পারি নাই। এখন হাসপাতালে এসে রোগীদেরকে নার্সিং সেবা দিয়ে আমারা অনেক আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি।
জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স ও পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ইনচার্জ রহিমা ইয়াসমিন বলেন, নার্সিং স্টুডেন্টরা কবে আসবে আমরা সেই প্রতীক্ষায় ছিলাম। সরকার নির্দেশ দেওয়ার পরে ওরা হাসপাতলে এসেছে। ওরা আসায় আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। ওদের দিয়ে আমরা বেড মেকিং, ক্যানেলা করা, ড্রেসিং করা, অপারেশন রোগীদের সেবা করিয়ে থাকি। ওরা অনেক আন্তরিকতার সাথে আমাদের কাজে সাহায্য করে। ওদেরকে পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
ফিমেইল মেডিসিন ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স লুৎফুর নাহার রুপা ডেইলি রাজবাড়ী নিউজকে জানান, শিক্ষার্থীরা আসায় কিছুটা হলেও আমাদের কাজে ওরা সাহায্য করতে পারবে। সকাল- বিকাল – রাতে ওরা ডিউটি করে। এখনো সব প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টরা আসেনি। সব প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টরা আসলে আমরা আরো ভালো সেবা দিত পারবো।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স ও ইউনিট ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর সকল নার্সিং ইনস্টিটিউট খোলার পরে এখন হাসপাতালে নার্সিং স্টুডেন্ট থাকায় করোনাকালিন সময়ের অতিরিক্ত রোগীকে এখন আমরা আরো ভালো সেবা দিতে পারব। তাছাড়া হাসপাতালের সৌন্দর্য মেডিকেল স্টুডেন্ট এবং নার্সিং স্টুডেন্টরা। তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকে রোগীদেরকে যে সেবাগুলো দিয়ে থাকে এর জন্য আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
Leave a Reply