শেখ ফয়সাল
প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর সারা দেশের মতো রাজবাড়ীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষির্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিওে পেয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর জন্য আগে থেকে প্রস্তুত রাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুওে এই চিত্র দেখা যায়। শহরের পান্না চত্বরে অবস্থিত টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফটক রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গায়ের তাপমাত্রা মেপে দেখা হয়। এরপর হাত ধুয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে।
টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদ জানায়, অনেক দিন আজ বিদ্যালয়ে এসেছি। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিদ্যালয় খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে। করোন দুর হয়ে আমাদের ক্লাস নিয়মিত হলে খুব ভালো লাগবে।
রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও একই চিত্র দেখা যায়। প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে।
ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের তাপমাত্রা মেপে ও ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমি মো. সায়েফ শিক্ষার্থীদের চকলেট ও মাস্ক উপহার দেন। পরে ক্যাম্পাসে একটি বৃক্ষরোপণ করা হয়। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম ও সাইফুর ইসলাম জানায়, ক্লাস ওয়ান টুতে পড়ার সময় বিদ্যালয়ে এলে খুব মজা পেতাম। আজও ছোটবেলা সেই মজা পাচ্ছি। সহপাঠীদের সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সবাই খুব হৈ চৈ করছে। দেখতে খুব ভালো লাগছে।
ইউএনও ফাহমি মো. সায়েফ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক দিন পরে আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। আমাদেরও খুব ভালো লাগছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুর্বণা রানী সাহা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
Leave a Reply