মহসিন মৃধা..
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২৩ জুলাই বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নুরে আলম সিদ্দিকী হক।
সম্মেলনের উদ্বোধন পর্বে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বানিবহ ইউনিয়ন কৃষকলীগের সদ্যবিদায়ী আহ্বায়ক আবদুস শুকুর মোল্লা। হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রমজান আলী খান, বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালী আক্তার, বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা, জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবু বককার খান, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন আরজু, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন প্রমূখ।
সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে আমাদের দেশে বিদ্যুতের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের অবস্থা খুব খারাপ হবে। সমস্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড স্থবির হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। কৃষকলীগকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।
কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, কৃষকলীগ আওয়ামীলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগি সংগঠন। কিন্তু এই সংগঠনকে তেমন একটা মূল্যায়ন করা হয়না। স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়না। অথচ, কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষকদের সঙ্গে কাজ করে। দলের দুঃসময়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের অংশগ্রহণ করে। দলকে শক্তিশালী করার জন্য সবসময় নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে। একারণে কৃষকলীগকে মূল্যায়ন করতে হবে।
রাতে ৬১সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ছয়জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় ফজলুর রহমান সভাপতি, আবদুস শুকুর মোল্লা মোল্লা সাধারণ সম্পাদক, অরুন কুমার কুন্ড ও আবদুর রশিদ সহসভাপতি, আবদুস ছালাম মোল্লা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আবুল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। আগামি এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য বলা হয়।
Leave a Reply