নিজস্ব প্রতিবেদক
টেলিফিনল্ম কোকিল খোয়ারি মুক্তি পেয়েছে। শুভমুক্তি উপলক্ষে ১১ জুলাই রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
টেলিফিল্মটির কাহিনী সংলাপ ও পরিচালনা করেছেন রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান শ্রাবণ চক্রবর্তী দিপু। মূল গল্প কবি ইউসুফ বাশার আকাশ।
অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুম আজিজ, জনপ্রিয় নায়িকা হুমায়রা হিমু. রাজবাড়ী জেলা কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস, সাবেক সিভিল সার্জন পারিজাত কুমার পাল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অসীম কুমার পাল, মোশাররফ হোসেন, ইউসুফ বাসার আকাশ, আবু সাইদ ও ফরিদুর রহমান জয়সহ আরও অনেকে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শ্রাবণ চক্রবর্তী দিপু ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাটক উপভোগ করেছেন রাজবাড়ীর মেয়র আলমগীর হোসেন তিতু। এসময় রাজবাড়ীর সাংস্কৃতিক অঙ্গণসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আলমগীর শেখ তিতু বলেন, রাজবাড়ীতেও এখন টেলিফিল্ম তৈরি হচ্ছে। নির্মাণ করছেন রাজবাড়ীর ছেলে। এটা খুব ভালো লাগার বিষয়। রাজবাড়ী সংস্কৃতিক অঙ্গণ বিকশিত করার ক্ষেত্রে এধরণের অনুষ্ঠান ভূমিকা রাখবে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেমসহ মাদক বিরোধী বিষয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। নিজ নিজ স্থান থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা একটি সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
নির্মাতা ও অভিনেতা শ্রাবণ চক্রবর্তী দিপু বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমরা এই টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছি। রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। শুভমুক্তির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমান দর্শক উপস্থিত হয়েছে। তারা কোকিল খোয়ারি টেলিফিল্মটি উপভোগ করেছেন। এটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। সামনে আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরা চাই, রাজবাড়ীকে সারাদেশ ও দেশের বাইরে তুলে ধরতে। আমাদের এখানেও অনেক গুণি শিল্পী রয়েছে। সবমিলিয়ে টেলিফিল্মটি দর্শক প্রিয়তা পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে।
প্রসঙ্গত, শ্রাবণ চক্রবর্তী দিপু টেলিফিল্ম নির্মাণের পাশাপাশি অভিনয়েও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। দুটোই চালিয়ে যাচ্ছেন সমানভাবে। ২০১৮ সালে শ্রাবণ চক্রবর্তীর দিপু পরিচালনায় নির্মিত হয় ‘কাদে মন কাদে ভালবাসা’ টেলিফিল্ম। এতে অভিনয় করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়িকা মৌসুমী ও তৌকির আহমেদ, মামুনুর রশীদ, শবনম পারভিন ও দিপু নিজে। গল্পটি আরটিভিতে প্রচারিত হয়। যা সারাদেশে ব্যাপক ভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। এরপর তিনি তৈরি করেন কৃষ্ণকলির আত্মকথা। এতে অভিনয় করেন জনপ্রিয়ে অভিনেতা সজল অপর্ণা ঘোষ, শামীমা নাজনীন, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু ওরফে বড়দা মিঠু, শবনম পারভীন, মিলন ভট্ট । এটিরও মূলগল্প ছিল কবি ইউসুফ বাশার আকাশের।
Leave a Reply