নিজস্ব প্রতিবেদক..
রাজবাড়ীতে গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত রোগী কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দা, মেঝতে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী ও স্বজনদের সারা রাত খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয়েছে। পরে তাদেরকে হাসপাতালের বারান্দায় গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। বাথরুম সংকট, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন না করা, ঔষধ প্রদান না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী সাধ্য মতো ঔষধ ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বিনোদপুরের আমিনুল ইসলাম বলেন, ছোট বোন নুরানীকে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে আসছি। একটি স্যালাইন হাসপাতাল থেকে দিয়ে বাকী স্যালাইন ও ঔষধ বাইরের দোকান থেকে কিনে এনেছি।
ধুঞ্চী গ্রামের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, সোমবার বিয়াইন বিলকিছকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। আজ ২টি ঔষধ ও স্যালাইন কিনতে হয়েছে।
মেহেদী হাসান নামে রোগীর এক স্বজন বলেন, সকালে রোগী ভর্তি করেছি। বাইরে থেকে স্যালাইন ও ঔষধ কিনতে হচ্ছে। তবে নার্সদের ডাকলে তারা ভালো ভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতো রোগী একটি মাত্র বাথরুম, পরিবেশ খুবই খারাপ অবস্থা দেখা দিয়েছে। নিয়মিত পরিস্কার না করায় দুগর্ন্ধ ছড়াচ্ছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মিনতি রায় চৌধুরী বলেন, সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮জন, রাতে ২২জন এবং মঙ্গলবার সকাল থেকে ১২টা পর্যন্ত ৩০জন রোগী ভর্তি হয়েছে। রোগীদের গাছতলা থেকে বারান্দায় শিফট করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা সার্বক্ষনিক ভাবে টহল দিচ্ছি। ঔষধ ও চিকিৎসায় কোন সংকট নেই। ইতিমধ্যে মেডিকেল টিম গঠনের নির্দেশনা এসেছে, নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, হঠাৎ করেই রাজবাড়ীতে বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আমরা সার্বক্ষনিক ভাবে রোগীদের সেবা প্রদান করছি। রোগীদেরকে হাসপাতালের বারান্দায় রাখা হয়েছে। হঠাৎ করেই রোগীর চাপের কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply