নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ীতে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত স্কুল শিক্ষিকার নাম পূরবী ইসলাম। তিনি কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত হিসেবে ছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ফরহাদ হোসেন। ফরহাদ কোলা সদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলা গ্রামে। ফরহাদ-পূরবী দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে।
নিহতের ভাই মেহেদী হাসান বলেন, আমার দুলাভাইয়ের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সবাই জানে। একারণে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। আমার বোনকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হতো। প্রায়ই আমার বোনের গায়ে হাত তুলতেন। আমাদের ধারণা, আমার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারধর ও শ^াসরোধ করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কারণ, সেখানে আত্মহত্যা করেছে সেখানে কোনো চেয়ার ছিল না।
তিনি বলেন, পরকীয়া থাকার কারণে আপা-দুলাভাইয়ের মধ্যে শান্তি ছিল না। আমার ভাগনে নেশা করে। একারণে মায়ের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হতো না। ভাগনের কথাবার্তাও সন্দেহজনক। তিনি অভিযোগ করেন, এঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টাও করা হয়েছে। আমাদের কাছে মামলা না করতে বলা হয়েছিল।
নিহতের মেয়ে মাইশা ফারজানা বলেন, আমি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। পড়ালেখার কারণে আমি জেলার বাইরে থাকি। আমার মাকে বাবা হত্যা করেন নাই। সুষ্ঠ তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ শাহাদাত হোসেন বলেন, রাত ১২টায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ মাটিতে নামানো ছিল। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে নিহতের স্বজনরা নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ করেছে।
Leave a Reply