নাহিদুল ইসলাম ফাহিম
ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি ওজন ৩০ মণ। অনেক শখ করে নাম রেখেছে ‘রাজবাড়ীর রাজা। পরে একই নামে আরও একটি ষাঁড় পাওয়া নাম বদলে রাখা হয় রাজবাড়ীর রাজা নাম্বার ওয়ান। কিন্তু ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন এক দম্পতি।
মালিক দম্পতির নাম মোকলেছুর রহমান-মিতানুর। তাঁরা রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীর রাজা-১ ষাঁড়টি সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। সদর উপজেলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শণীতে গরুটি বিচারকদের বিবেচনায় সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে নির্বাচিত হয়। একারণে ষাঁড়ের মালিককে পুরস্কৃত করাও করা হয়।
মিতানূর বলেন, ঈদের আগে ঢাকার গাবতলীতে নেওয়ার পরে দাম হয় সাড়ে তিনলাখ টাকা। এজন্য ষাঁড়টিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। লাভের পরিবর্তে ষাঁড় ঢাকায় আনা নেওয়া, নিজেদের খাওয়া, ষাঁড়ের খাওয়াসহ আনুষাঙ্গিক সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ‘আমরা ষাঁড়টি বিক্রির জন্য অনলাইন, অফলাইন সব ভাবেই চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সফল হইনি। সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে করোনার কারনে দেওয়া লকডাউন। লকডাউনের কারণে আমরা বাজার ধরতে পারি নাই। এতে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। যেহেতু নিজের গরু তাই আরও একবছর আমাকে গরুটি পালতে হবে। এতে আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা খায়ের উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় এবারের কোরবানীর ঈদে তিন হাজার ৫৮৫টি গরু প্রস্তুত করা হয়ে ছিল। আমরা সারাদেশের মতো অনলাইন ও অফলাইনে কর্মকান্ড পরিচালনা করেছি। ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বিক্রি করতে কোনো সমস্যা হয়নি। ভালো বিক্রি হয়েছে। আমাদের হিসেব অনুযায়ি ২৪৫টি গরু অবিক্রিত ছিল। এসব গরু আকাওে তুলনামূলক ভাবে অনেক বড়।
Leave a Reply